জাহান খুশীর উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প
খুরশীদা জাহান ( Jahan khushi) আব্বার নাম খোরশেদ আলম।বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে।পড়শুনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।সমাজকর্ম বিভাগ।
বিয়ের পর ঢাকা চলে আসি।পড়শুনা শেষ করার পর চাকরী করার ইচ্ছা ছিল না।১ বছর ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশুনা করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডে ডিজাইন করে দিতাম।
মিরপুরে দোকান ছিলো পরে আমিও যোগ দেই।টাঙাইলের শাড়ী নিয়ে শুরু করি প্রথমে টাকা আব্বা দিয়েছিলো।৬ জন তাতীর সাথে মিলে কাজ করতাম।কিছুদিন পর একটা ঝামেলায় আমি চলে আসি পার্টনার শিপ থেকে।
একেবারে শুন্য হাতে।ফিরে যায় আবার ডিজাইনের কাজে।সাথে বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী প্রডাক্ট পাইকারিতে বিক্রি করতাম।অর্ডার নিয়ে।এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আবার ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট কারখানা নিয়ে শুরু করি পাচ জন মিলে ।
এখন মুটামুটি দাড়িয়ে গেছে।আমরা সারা দেশেই পাইকারি দিচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ্।অর্ডারে কাজ করছি।আমার খুই ইচ্ছে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করা।হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ্।
আমি কাজ করতে যেয়ে ভালো ও খারাপ দুটা চেহারাই দেখেছি।বিশেষ করে মেয়েদের এখনো ভালো চোখে দেখে না অনেকেই।মেয়ে মানুষ ব্যবসা করবে??তার উপর স্বামী যদি চাকুরীজীবি হয়।
প্রতিবন্ধকতা আমি অনেক টাই কাটিয়ে উঠেছি।সামনে যেতে হবে বহুদুর।এছাড়া আমাদের যারা কর্মী আছেন কারখানায় এরা অনেক কিছু থেকেই দুরে, শিক্ষা ,পরিবেশ কোনটাই নেই।
আমি কখনো সুযোগ পেলে এদের জন্য করব।নারী উদ্যোক্তা গ্রুপে ভালোবেসেই আছি।আমি সব সময়ই দল,জোটের বিপক্ষে।অনেক বড় প্লাটফর্ম থেকেও নীরবে সরে এসেছি।কারন আমি স্বার্থহীন ও স্বাধীন হয়ে কাজ করতে চাই।অন্যের আশায় বসে থাকা আমার পছন্দ না।
নারী উদ্যোক্তার খোঁজে গ্রুপে এসে মনে হয় আমি সেই স্বাধীনতা পেয়েছি।নিজের মতো কাজ করি। একটা পরিবার.. একটা বন্ধন বা টান অনুভব করি বলেই এখানে থাকা। নারী উদ্যোক্তা গ্রুপের সাথে কাজ করতে পেরে অামার খুবই ভালো লাগছে। গ্রুপের নীতি নির্ধারক উর্মি রহমান অাপু খুবই অমায়িক। গ্রুপটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দোয়া রইল।