এনজিওজাতীয়

বিড়ি শ্রমিকদের সাথে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:: বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডর্‌প গত ৩০-৩১ আগস্ট, ২০২১ তাদের কর্ম এলাকা টাঙ্গাইল জেলার দিঘুলিয়ার হক বিড়ি ফ্যাক্টরির ২০ জন বিড়ি শ্রমিক এবং সুরুজএলাকার পাখা ও দেওয়ান বিড়ি ফ্যাক্টরির ২০ জন মহিলা বিড়ি শ্রমিক এর সাথে “ জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন” বিষয়ক একটি আলোচনা সভা পরিচালনা করে।

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জয়মন বেগম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়মন বেগম, “বিড়ি ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে ক্ষতি নানামূখী এবং আমরা বিড়ি শ্রমিকগণ এর ভুক্তভোগী। আমরা জানি যিনি ধূমপান করেন কিংবা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করেন তিনিই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হন না, তার চারপাশের মানুষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেন। শুধু তাই নয়, পারিবারিকভাবেও স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে ও অর্থের ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের দেশে যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন আছে তার ৬টি ধারা জনস্বাস্থ্যের জন্য অনতিবিলম্বে পরিবর্তন করা প্রয়োজন ।”

উল্লেখ্য, ডর্‌প আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত, এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিষয়গুলো অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়। এছাড়াও উক্ত সভায় বিড়ি ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ৬টি ধারা সংশোধনের উপকারিতা এবং র্ডপ এর ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ব্যাপারে তাদের ধারণা দেওয়া হয়।

এ অনুষ্ঠানে বিড়ি শ্রমিকগণ বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন ও প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন যে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে।

অথচ টোব্যাকো এটলাস ২০২০ এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে। তামাক ব্যবহারকারীদের তামাকজনিত রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, সিওপিডি বা ফুসফুসের ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ৫৭% বেশি। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তাই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা এবং এ সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করা এখন সময়ের দাবি।

উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ বর্তমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ ও ২০১৩ এ (সংশোধিত) আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনের এই উদ্যোগ এর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় এর প্রতি আইন সংশোধনের দ্রæত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close
Close