এনজিও

সিএসও/ সিবিও এবং এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:: বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডর্‌প গত ৩১ আগস্ট, ২০২১ তাদের ভোলা জেলা অফিসে ১৫ জন সিএসও/সিবিও ও এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে “ জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন” বিষয়ক একটি আলোচনা সভা পরিচালনা করে।

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: আবু তাহের, প্রাক্তন সভাপতি ভোলা প্রেস ক্লাব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: হাফিজুর রহমান, ব্রাক জেলা প্রতিনিধি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: আবু তাহের বলেন, “বিড়ি বা তামাকজাত দ্রব্য জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের দেশে যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন আছে তার ৬টি ধারা জনস্বাস্থ্যের জন্য অনতিবিলম্বে পরিবর্তন করা প্রয়োজন ।”

ব্রাক জেলা প্রতিনিধি জানান, “বিড়ি ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে ক্ষতি নানামূখী। যিনি ধূমপান করেন কিংবা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করেন তিনিই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হন না, তার চারপাশের মানুষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডর্‌প যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তার সাফল্য কামনা করি। আশা করছি বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের সাথে থাকবেন।”

উল্লেখ্য, ডরপ্ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত, এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিষয়গুলো অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়। এছাড়াও উক্ত সভায় বিড়ি ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ৬টি ধারা সংশোধনের উপকারিতা এবং ডর্‌প এর ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ব্যাপারে তাদের ধারণা দেওয়া হয়।

এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে।

অথচ টোব্যাকো এটলাস ২০২০ এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে। তামাক ব্যবহারকারীদের তামাকজনিত রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, সিওপিডি বা ফুসফুসের ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ৫৭% বেশি। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তাই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা এবং এ সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করা এখন সময়ের দাবি।

উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ বর্তমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ ও ২০১৩ এ (সংশোধিত) আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনের এই উদ্যোগ এর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় এর প্রতি আইন সংশোধনের দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close
Close