উদ্যোক্তাদের চ্যালেন্জ কি হতে পারে বর্তমান প্রেক্ষাপটে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে উদ্যোক্তাদের সামনে চ্যালেন্জিং সময় আসছে একথা খুবই সত্যি। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে আমি ভাবছি। উদ্যোক্তাদের সামনে চ্যালেন্জিং হলেও সম্ভাবনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
মানুষ কর্মজীবনে যখন ফিরবে তখন তারা আর অন্য কোন দিকে সময় দেওয়ার সময় পাবে না। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা শপিংমলে যেতে পারবে না কিংবা বাজার করতে বাজারে।
এই ক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির চাহিদা অনলাইনে বৃদ্ধি পাবে একথা নিশ্চিত। আমাদের কাজ হচ্ছে মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
চেষ্টা করতে হবে দেশীয় পণ্যের ক্রেতা তৈরীতে এবং বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া। প্রয়োজনে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করতে হবে। কাস্টমারের কাছে নিজেকে এবং নিজের পণ্যকে তুলে ধরতে হবে।
এখন থেকেই নেটওয়ার্কিং বড় করতে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে হবে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অর্থনৈতিক ভারসাম্য ধরে রাখাটা জরুরী।
নিজেদের মধ্যে বন্ডিং তৈরী করতে হবে। পাশাপাশি একে অপরের প্রতি ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আমরাই আমাদের প্রমোটার। যারা ভালো কাজ করবে তাদের প্রশংসা করব অবশ্যই।
সংকোচ যারা করবেন তারাই আফসোস করবেন পরবর্তীতে। বিলাসী দ্রব্যের চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার অনেক বড়।
এত কাস্টমারের মৌলিক চাহিদা যদি অনলাইনের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা পূরণ করতে পারে তবে পিছিয়ে পড়ার কোনো কারনই থাকবে না। মনে রাখুন এটাই সুযোগ সময়কে কাজে লাগানোর।
তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখুন প্রডাক্টিভ চিন্তা করুন। হতাশা নয় পরিশ্রম এবং নিজের স্কীল ডেভেলপ করাটাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত এই মূহুর্তে।
লেখকঃ ঝুমা হোসেন
OWNER
লেখকের ফেসবুক পেজ